ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী

ছবি: সংগৃহীত

ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (আরবি: مَوْلِدُ النَبِيِّ‎‎ মাওলিদু এন-নাবীয়ী, আরবি: مولد النبي মাওলিদ আন-নাবী, কখনো কখনো সহজভাবে বলা হয় مولد মাওলিদ, মেভলিদ, মেভলিট, মুলুদ আরো অসংখ্য উচ্চারণ; কখনো কখনো: ميلاد মিলাদ) হচ্ছে শেষ নবীর জন্মদিন হিসেবে মুসলমানদের মাঝে পালিত একটি উৎসব। মুসলিমদের মাঝে এ দিনটি বেশ উৎসবের সাথে পালন হতে দেখা যায়। তবে উৎসব নিয়ে ইসলামি পণ্ডিতদের মাঝে অনেক বিতর্ক রয়েছে। হিজরি বর্ষের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল-এর বারো তারিখে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।বাংলাদেশি মুসলমানরা এই দিনকে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী বলে অভিহিত করেন। অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের কাছে এই দিন নবী দিবস নামে পরিচিত।ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন? ঈদে মিলাদুন্নবী কি জায়েজ | নাজায়েজ না বিদআত ? ঈদে মিলাদুন্নবী কি? ঈদে মিলাদুন্নবী শব্দের পরিচিতি ...... ঈদে মীলাদ উন নবী বা মওলিদ উদযাপনের প্রথম নথিভুক্ত উদাহরণ নবীর মৃত্যুর প্রায় 600 বছর পরে মিশরে উল্লেখ করা হয়েছিল, যদিও কিছু বিবরণ বলে যে উদযাপন সিরিয়া বা ইরাকেও শুরু হতে পারে। 

Mawlid, also known as Eid-e-Milad an-Nabi, is an observation of the day when the Islamic prophet Muhammad is reported to have been born. It is commemorated usually on the 12th of Rabi' al-Awwal, the third month in the Islamic calendar. Wikipedia Date: Wed, Sep 27, 2023 – Thu, Sep 28, 2023 Observances: Birthday of the Islamic Prophet Muhammad Event Length: 1 Day Featured in religions: Islam, Sunni Islam, Shia Islam 

এই বিশেষ দিবসে দাতব্য ও খাবার বিতরণ করা হয়, এবং শিশুদের কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে মুহাম্মাদের জীবন সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়। আলেম ও কবিগণ ত্রয়োদশ শতকের আরবি সুফি বুসিরির বিখ্যাত কবিতা কাসিদা ই-বুরদা শরীফ পাঠ করে উদযাপন করেন। যাইহোক, এই উৎসবগুলোর মূল তাৎপর্য হল মুহাম্মাদের প্রতি ভালবাসার প্রকাশ। আধুনিক উদযাপনের মধ্যে মুসলমানদের নতুন পোশাক পরা, নামাজ পড়া এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করা জড়িত। তারা মসজিদ বা দরগায় জড়ো হয় এবং সকালের প্রার্থনা দিয়ে দিন শুরু করে, তারপরে পবিত্র কুরআনে বর্ণিত নবীর জীবনের গল্প বর্ণনা করে মিছিল করে। ঈদ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো খুশি হওয়া, ফিরে আসা, আনন্দ উৎযাপন করা ইত্যাদি। আর মিলাদুন্নবি (স.) বলতে নবিজির আগমনকে বোঝায়। আর ‘ঈদে মিলাদুন্নবি’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে নবিজির আগমনে খুশি উৎযাপন করাকে বোঝায়। এ বিষয়ে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেন- 

হে প্রিয় রাসুল! আপনি স্মরণ করুন ওই দিনের ঘটনা- (রোজে আজলের সময়ের) যখন আমি (আল্লাহ) আম্বিয়ায়ে কেরামগণের নিকট থেকে এইভাবে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, যখন ‘আমি তোমাদেরকে কিতাব এবং হিকমত’ অর্থাৎ নবুয়ত দান করব, অতঃপর তোমাদের কাছে এক মহান রাসুলের শুভাগমন হবে- যিনি তোমাদের প্রত্যেকের নবুয়তের সত্যায়ন করবেন, তখন তোমরা সকলে অবশ্যই তার ওপর ঈমান আনয়ন করবে এবং সর্বোত্তমভাবে তাকে সাহায্য সহযোগিতা করবে। তোমরা কি এ কথার অঙ্গীকার করছ এবং অঙ্গীকারে কি অটল থাকবে? সমস্ত নবিগণ বললেন- হাঁ, আমরা অঙ্গীকার করলাম। আল্লাহ তায়ালা বললেন- তোমরা পরস্পর সাক্ষী থেক এবং আমি ও তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম। এর পরেও যে কেউ পিছপা হয়ে যাবে- তারা হবে ফাসেক। (সুরা আল-ইমরান ৮১-৮২ নং আয়াত) অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, অর্থাৎ- হে মানবকুল তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং অন্তর সমূহের বিশুদ্ধতা, হেদায়েত এবং রহমত ঈমানদারদের জন্য। হে হাবিব, (সা.) আপনি বলুন! আল্লাহরই অনুগ্রহ ও তার দয়া প্রাপ্তিতে তারা যেন আনন্দ প্রকাশ করে। এটা তাদের সমস্ত ধন-দৌলত সঞ্চয় করা অপেক্ষা শ্রেয়। (সুরা ইউনুছ, আয়াত নং- ৫৭-৫৮)।

 হজরত ছুয়ায়লি (রা.) বর্ণনা করেছেন, হজরত আব্বাস (রা.) এরশাদ করেন যে, যখন আবু লাহাব মারা যায় তার এক বছর পর আমি তাকে স্বপ্নে দেখি যে, বড়ই খারাপ অবস্থায় আছেন এবং তিনি বলছিলেন, তোমাদের কাছ থেকে আসার পর আমার কোনো শান্তি নসিব হয়নি। হ্যাঁ এতটুকু অবশ্যই যে, প্রত্যেক সোমবার আমার আজাব হালকা করে দেওয়া হয়। তা শুনে হজরত আব্বাস (রা.) বললেন, এটি এ জন্যই যে, নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবার দিন দুনিয়াতে আগমন করেন। আর ছোয়াইবা নামী জনৈকা ক্রীতদাসী তাকে নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার আগমনের শুভ সংবাদ দিয়েছিলেন বিধায় সন্তুষ্টি চিত্তে আবু লাহাব তাকে আজাদ করে দিয়েছিলেন।


Previous Post Next Post

نموذج الاتصال