আজ আমরা নামের মহিমা নিয়ে কথা বলব। শ্রীশ্রীগুরুমহারাজ যে নাম মন্ত্র আমাদেরকে কৃপা করে দিয়েছেন
সেই নামের মহিমা, সেই নামের শক্তি ও নামজপের ফল সম্পর্কে আলোকপাত করার চেষ্টা করব। সনাতন
শাস্ত্রে এমনকি অন্যান্য মতে, বিশেষ করে নানক সম্প্রদায়েও আমরা নাম জপের গুরুত্ব দেখতে পাই।
কৃষ্ণযজুর্বেদের কঠশাখার অন্তর্গত কঠোপনিষৎ এর ১ম অধ্যায়, ২য় খণ্ড ১৮ শ্লোকে আছে,
এতদালম্বনং শ্রেষ্ঠমেতদালম্বনং পরম
এতদালম্বনং আত্মা ব্ৰহ্মলোকে মহীয়তে।।
এই ওকার রূপ অবলম্বন ব্রহ্মপ্রাপ্তির অপর অবলম্বনসকলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। এই অবলম্বন পরব্রহ্মবিষয়ক এবং
অপরব্রহ্মবিষয়ক বলিয়া পর ও অপর। এই অবলম্বনমাধ্যমে উপাসনা করিয়া সাধক পরব্রহ্মস্বরূপ বা অপরব্রহ্ম
হইয়া মহিমান্বিত হন।
পাতঞ্জল যোগসূত্রের ২৭ নং সূত্রে বলছেন, তস্য বাচকঃ প্ৰণবঃ প্রণব অর্থাৎ ওঙ্কার তাহাঁর প্রকাশক শব্দ ।
তজ্জপণ্ডদৰ্থভাবনম্ ॥২৮॥ এই ওঙ্কারের পুনঃপুনঃ উচ্চারণ ও উহার অর্থ ধ্যান (সমাধিলাভের উপায়)।
স্বামীজী বলছেন জপ বা পুনঃপুনঃ উচ্চারণের অর্থ এখন বুঝা যাইবে। আমাদের ভিতর যে-সকল আধ্যাত্মিক
সংস্কার আছে, জপ সেগুলিকে উদ্দীপিত করিবার প্রধান সহায়। ক্ষণমাত্র সাধুসঙ্গ ভবসমুদ্রপারের একমাত্র
নৌকাস্বরূপ হয়।' সঙ্গের এতদূর শক্তি! বাহ্য সৎসঙ্গের যেমন শক্তি, আন্তর সৎসঙ্গেরও তেমনি শক্তি। এই
ওষ্কারের পুনঃপুনঃ উচ্চারণ ও অর্থ স্মরণ করাই নিজ অন্তরে সাধুসঙ্গ করা। পুনঃপুনঃ উচ্চরণ কর এবং সেই
সঙ্গে উচ্চারিত শব্দের অর্থ ধ্যান কর, তাহা হইলে হৃদয়ে জ্ঞানালোক আসিবে এবং আত্মা প্রকাশিত হইবেন।
শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে – শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু
গুরু মোরে মূর্খ দেখি করিলা শাসন
মূর্খ তুমি তোমার নাহি বেদান্তাধিকার ।
কৃষ্ণমন্ত্র জপ সদা এই মন্ত্র সার।
কৃষ্ণমন্ত্র হৈতে হবে সংসার মোচন।
কৃষ্ণনাম হৈতে পাবে কৃষ্ণের চরণ।
এত শুনি গুরু হাসি বলিলা বচন
কৃষ্ণনাম মহামন্ত্রের এইত স্বভাব
যেই জপে, তার কৃষ্ণে উপজয়ে ভাব
কৃষ্ণনামের ফল প্রেমা সর্বশাস্ত্রে কয়
ভাগ্যে সেই প্রেমা তোমার করিলা উদয়।
কলিকালে নাম-রূপে কৃষ্ণ অবতার
নাম হৈতে হয় সব জগত নিস্তার ।।
গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু তাঁর বিখ্যাত শিক্ষাষ্টকে বলছেনঃ
চেতোদর্পণমাৰ্জনং ভবমহাদাবাগ্নিনির্বাপণহ
শ্রেয়ঃকৈরবচন্দ্রিকাবিতরণং বিদ্যাবধূজীবনম্ ।
আনন্দাম্বুধিবৰ্ধনং প্রতিপদং পূর্ণামৃতাস্বাদনং
সর্বাত্মন্নপনং পরং বিজয়তে শ্রীকৃষ্ণসন্ধীৰ্ত্তনম্ ।। (শিক্ষাষ্টকম-১)
চিত্তরূপ দর্পনের মার্জনকারী, ভবরূপ মহাদাবাগ্নি নির্বাপণকারী, জীবের মঙ্গলরূপ কৈরবচন্দ্রিকা বিতরণকারী,
বিদ্যাবধূর জীবনস্বরূপ, আনন্দ-সমুদ্রের বর্ধনকারী, পদে পদে পূর্ণ অমৃত আস্বাদন-স্বরূপ এবং সর্ব স্বরূপের
শীতলকারী শ্রীকৃষ্ণসঙ্কীর্তন বিশেষভাবে জয়যুক্ত হোন।
নান্নামকারি বহুধা নিজসর্বশক্তি-
স্তরার্পিতা নিয়মিতঃ স্মরণে ন কালঃ ।
এতাদৃশী তব কৃপা ভগবাপি
দুর্দৈবমীদৃশমিহাজনি নানুরাগঃ ।।
(শিক্ষাষ্টকম -২)
হে পরমেশ্বর ভগবান ! তোমার নামই জীবের সর্বমঙ্গল বিধান করেন, এই জন্য তোমার 'কৃষ্ণ', 'গোবিন্দ'
আদি বহুবিধ নাম তুমি বিস্তার করেছ। সেই নামে তুমি তোমার সর্বশক্তি অর্পণ করেছ এবং সেই নাম স্মরণের
স্থান-কাল-পাত্র আদির কোন রকম বিধি বা বিচার করনি। হে প্রভু! জীবের প্রতি এভাবেই কৃপা করে তুমি
তোমার নামকে সুলভ করেছ, তবুও আমার এমনই দুর্দৈব যে, সেই নাম গ্রহণ করার সময় আমি অপরাধ করি
এবং তার ফলে তোমার সুলভ নামেও আমার অনুরাগ জন্মায় না।
নয়নং গলদশ্রুধারয়া বদনং গদ্ গদরুয়া গিরা ।
পুলকৈর্নিচিত্তং বপুঃ কদা তব নামগ্রহণে ভবিষ্যতি ।। (শিক্ষাষ্টকম-৬)
হে প্রভু ! তোমার নাম গ্রহণে কবে আমার নয়নযুগল গলদশ্রুধারায় শোভিত হবে? বাক্য নিঃসরণ সময়ে
বদনে গদ্ গদ স্বর বের হবে এবং আমরা সমস্ত শরীর পুলকাঞ্চিত হবে?
রামচরিতমানস প্রণেতা, রামগতপ্রাণ তুলসীদাসব্জী বলেছেনঃ নাম লে তো ভবসিন্ধু সুখৈ । নামে এই
সংসারসমুদ্র শুকিয়ে যায়। সাধু তুকারাম বলছেন, “ভাই, নিরন্তর গোবিন্দের নাম জপ করে যাও। জপের ফলে।
তুমি গোবিন্দস্বরূপ হয়ে উঠবে। তোমার আর তোমার প্রভুর মধ্যে সকল পার্থক্য ঘুচে যাবে। ভাই, তুমি
নিজেকে ক্ষুদ্র বলে ভাবছ কেন? তুমি যে এ বিশ্বের মতো মহান।”
ঠাকুর শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেবের ভাষায়ঃ
কেন নাম কি কম? তিনি আর তার নাম তফাত নয়। সত্যভামা যখন তুলাযন্ত্রে স্বর্ন-মণি-মাণিক্য দিয়ে
ঠাকুরকে ওজন কচ্ছিলেন, তখন হল না। যখন রুক্মিণী তুলসী আর কৃষ্ণনাম একদিকে লিখে দিলেন, তখন
ঠিক ওজন হল।
তাঁর নাম কল্পে সব পাপ কেটে যায়! কাম, ক্রোধ, শরীরে সুখ-ইচ্ছা - এ-সব পালিয়ে যায়।
শ্রীরাধারাণী বলছেন, “সখি, এ প্ৰাণ তো থাকিবে না - রেখো দেহ তমালের ডালে, আর আবার গায়ে
কৃষ্ণনাম লিখে নিও!" শ্রীরামকৃষ্ণ বলিতেছেন, “তিনি আর তাঁর নাম অভেদ; তাই শ্ৰীমতী এইরূপ বলছেন।
যেই রাম সেই নাম।"
“জপ করা কি না নির্জনে নিঃশব্দে তাঁর নাম করা। একমনে নাম করতে করতে – জপ করতে করতে –
তাঁর রূপদর্শন হয় – তাঁর সাক্ষাৎকার হয়। শিকলে বাঁধা কড়িকাঠ গঙ্গার গর্ভে ডুবান আছে – শিকলের
আর-একদিক তীরে বাঁধা আছে। শিকলের এক-একটি পাপ (Link) ধরে ধরে গিয়ে ক্রমে ডুব মেরে শিকল
ধরে যেতে ওই কড়ি-কাঠ স্পর্শ করা যায়। ঠিক সেইরূপ জপ করতে করতে মগ্ন হয়ে গেলে ক্রমে ভগবানের
সাক্ষাৎকার হয়।"
শ্রীশ্রীমা সারদামণি বলছেন,
একভক্ত মাকে জিজ্ঞেস করছেন - অনুরাগ না থাকলে শুধু নামজপ করলে কি হবে ?
মা - জলেতে ইচ্ছে করেই পড়, আর ঠেলেই ফেলে দিক - কাপড় ভিজবেই। নিত্য ধ্যান করবে। কাঁচা মন কি
- না? ধ্যান করতে করতে মন স্থির হয়ে যাবে। সর্বদা বিচার করবে। যে বস্তুতে মন যাচ্ছে, তা অনিত্য চিন্তা
করে ভগবানে মন সমর্পণ করবে। একটি লাকে মাছ ধরছিল - পাশে বাজনা বাজিয়ে বর যাচ্ছে, কিন্তু তার
ফাতনার দিকেই দৃষ্টি।
একদিন জিজ্ঞাসা করলাম, “মা, ভগবানের নাম করলেও কি প্রারব্ধ ক্ষয় হয় না?"
মা বলিলেন, “প্রারন্ধের ভোগ ভুগতেই হয়। তবে ভগবানের নাম করলে এই হয় যেমন একজনের পা কেটে
যাবার কথা ছিল, সেখানে একটা কাঁটা ফুটে ভাগে হল।”
পরে বলিলেন, 'যার আছে সে মাপো, যার নেই সে জপো।" (যার অর্থাদি আছে সে ভক্ত-ভগবানের সেবা
করুক। আর যার নেই সে ভগবানের নামজপ করুক। এই উভয় উপায়েই ভগবানের কৃপা লাভ করা যায়।)
খেলুড়েদের একজন বুকে পাথর ভাঙিয়া খেলা দেখাইয়াছিল। ভাঙিবার সময় মা কেবল বলিতেছিলেন, “ঠাকুর,
রক্ষা কর ; ঠাকুর, রক্ষা কর।” পাথর ভাঙা হইয়া গেলে মা আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “বাবা, ওরা কি মন্তর
টন্তর জানে ?"
আমি - না, মা, মন্তর উত্তর কিছু নয়; এই রকম ক্রমে ক্রমে অভ্যাস করেছে। আমি একটা গল্প শুনেছি -
আমেরিকার কোন সাহেব একটি বাহুরকে প্রত্যহ কোলে করে দূরে গোচারণের মাঠে নিয়ে যেতাম। ক্রমশঃ
বাছুরটি বড় হয়ে যাঁড় হ'ল। তখনও সে কোলে করে নিতে পারতো, আর সকলকে এই খেলা দেখাতো। এ
সবই অভ্যাসের কাজ।
মা - বটে, দেখলে অভ্যাসের কত শক্তি। এমনি, জপ অভ্যাস করতে করতে মানুষ সিদ্ধ হয় - জপাৎ সিদ্ধিঃ,
জপাৎ সিদ্ধিঃ, জপাৎ সিদ্ধিঃ।
গুরুনানক সম্প্রদায়ের একটা গল্প বলে শেষ করছি
রাজমহল, রাণীরা বাইরে যেতে পারে না, অনুমতি নাই। রাজমহলের বাইরে একটা বারান্দায় একজন মা
অনেক বছর ধরে ঝাড়ু দিতেন। এর পাশেই রাণীদের ঘর। ঝাড়ুদার মা অসুস্থ হয়ে গেলে তিনি তার যুবক
ছেলেকে পাঠান ঝাড়ু দিতে। তো ছেলে ঝাড়ু দিচ্ছে, এমন সময় রাণী বাইরে আসে। রাণী খুব সুন্দর ছিলেন,
ছেলেটি রাণীকে দূর থেকে দেখে কামনায় আসক্ত হয়ে গেলেন। বাসায় ফিরে সে হতাশাগ্রস্থ, খায় না, চায় না,
তার মা বললেন কি রে তোর কি হয়েছে, বলে আমি রাণীকে বিয়ে করব। কি বলিস মূঢ়! রাণীর সাথে কথাই
বলা যায় না, তার বাইরে আসার অনুমতি নাই, আর তুই বলছিস তুই বিয়ে করবি! রাজা শুনলে তোকে মেরে
ফেলবে। অসম্ভব। তখন ছেলে বলল, অন্তত কথা বলিয়ে দাও। মা দেখলেন ছেলেকে না কথা বলিয়ে দিলে
আমার ছেলে মরে যাবে। তো মা গেলেন রানীর কাছে, অনুনয় করলেন, কথা বলিয়ে দেবার জন্য। রাণী
বললেন, কি বলছিস! কথা কি রে! আমার কাছে বাইরের লোক আসার বা যাওয়ার কোন অনুমতি নাই যে।
মা বিনতি করতে লাগলেন। অনেক অনুনয় বিনয় করার পর রাণী বললেন আচ্ছা শুন, আমি যেমন বলি ঠিক।
তেমন তোমার ছেলেকে করতে বলবে। এক সময় আসবে যখন রাজা আমাকে নিজে পাঠাবে তোমার ছেলের
কাছে। শহরের যে চাররাস্তার সড়ক আছে সেখানে একটা গাছ আছে। তোমার ছেলেকে বলবে গেরুয়া
পরতে, মালা পরতে আর একটা বক্সে পিন্নিয়া (ড্রাই ফ্রুট) রাখতে। সেটা একটা গর্ত করে বক্সে রাখবে আর
সেটার উপর বসে থাকবে। আর সেখানে বসে চোখ বন্ধ করে রাম নাম করতে, আর রাতে যখন কেউ থাকবে
না তখন যেন পিন্নিয়া খেয়ে নেয় । আর যেন একদম চোখ না খুলে, কেউ কিছু দিলে যেন না ছোঁয়। আর
যেন শুধু রামনাম করে। যখন আমি ওকে ওখানে গিয়ে ডাকব শুধু তখনই যেন চোখ খুলে।
মা গিয়ে ছেলেকে সব বলল, ছেলে রাজি হয়ে গেল। গেরুয়া, কমণ্ডলু নিয়ে সেখানে বসে রাম রাম জপতে
লাগলো। লোক দেখানর জন্য ওখানে বসে রামনাম করছে। আর মনে পাপ, রাণীর সাথে কথা বলবে, রাণীকে
দেখবে। মানুষ দেখল, এই লোক উঠে না, কিছু বলে না, কিছু চায় না, বড় উঁচু সাধু মনে হয়। রাত হলে সে
ছেলে পিন্নি খেয়ে নেয়, জল খেয়ে নেয়। দুই দিন হয়ে গেছে, লোক ভেট বা দান করতে শুরু করল। ফল,
মিযটি দিচ্ছে, টাকা দিচ্ছে। কিন্তু অদ্ভূত কিছু ছোঁয় না, তাকিয়েও দেখে না। শুধু সমাধিতে থাকে। কথা ছড়িয়ে
পড়ল, রাজার কানে গেল। রাজা, মন্ত্রী, পেয়াদা সহ হীরা, জহরত নিয়ে গেল সেই ভণ্ড সাধু দেখতে। রাজা
বললেন চোখ খুল বাবা, আমি রাজা এসেছি। সামনে হীরা জহরত লাগল, কিন্তু কই সাধু তাকায় না, শুধু
একমনে জপ করছে রাম, রাম, রাম, রাম, রাম, রাম।। ভণ্ডামি করছে, দেখাচ্ছে কি বড় সাধু আমি। রাজা
কিছুক্ষন বসে চলে গেল। রাতে রাণীকে বলল, এক বড় সাধু এসেছেন, হীরা জহরত কিছুর দিকেই তাকাচ্ছে
না। এমন সাধু দেখি নাই। যাও গিয়ে দেখা করে এস। রাণী মনে মনে হাসে, বলে এইসব তো আমার
কথাতেই করছে। তো রাণী পরদিন তার দাসীদের নিয়ে গেল। দাসীদের কিছুদূর রেখে ভণ্ডের কাছে গেল।
বলল আমি রাণী এসেছি, চোখ খুল। কিন্তু ছেলেটি চোখ খুলছে না। বললে ওরে যার জন্য সব করছিস, সে
এসেছে চোখ খুল। কিন্তু সাধু তো চোখ খোলে না। রাণী এবার বিরক্ত। বলছেন, চোখ খুলবি না সবাইকে
বলব যে ভণ্ডামি করছিস। সাধু চোখ খুলল। কিন্তু চোখ খুলে সে রাণীর দিকে তাকালোও না। সে সোজা রাণীর
পাদুটি ধরে প্রণাম করল। আর বলল, আপনি আমার গুরু, আপনি আমার মা। কি বলিস? তুই আমাকে
দেখার জন্য আসক্ত হয়ে ভণ্ড হয়েছিস যে। তুই কি বলছিস। সাধু বললেন, আমি আসক্ত হয়ে রামনাম
করছিলাম। কিন্তু এই রামনাম আমার মনের সব পাপ ধুয়ে দিয়েছে, আমাকে এমন আনন্দ দিয়েছে যে আমি
আর কিছুই চাই না। আপনার জন্যই আমার এ অবস্থা, আপনি আমার গুরু । রাণী নামের এই মহিমা দেখে
বিস্মিত হলেন।
লেখকঃ রামকৃষ্ণ দশা