স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, যতক্ষণ না তুমি ঈশ্বরকে
অনুভব করছ, ততক্ষণ ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করো না।অর্থাৎ, ঈশ্বর বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব যদি থাকে, তবে
আমাকে তাঁকে অনুভব করতে হবে। শুধুমাত্র অপরের
কথায় চোখ বন্ধ করে ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করা
অনুচিত। বিজ্ঞান যেমন প্রমাণ সাপেক্ষ, আধ্যাত্মিকতাও
তেমনই প্রমাণ সাপেক্ষ। স্বামী বিবেকানন্দ ঠাকুর
শ্রীরামকৃষ্ণের সাথে প্রথম সাক্ষাতেই তাঁকে প্ৰশ্ন
করেছিলেন, আপনি ঈশ্বরকে দেখেছেন? ঠাকুরও
তৎক্ষণাৎ তাকে উত্তর দিয়েছিলেন, দেখেছি কি রে?
তোকেও দেখাতে পারি।' নানক, কবীর, তুকারাম, মীরা,
গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু এরা সকলেই ভগবানের দর্শন লাভ
করেছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আমি তো ঈশ্বরকে দেখি
নি। তাহলে আমি কিভাবে ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস
করবো? বেদান্ত এর উত্তর দিয়েছে, বলেছে, তুমি
নিজেকে খোঁজ। আমি কে? এর উত্তর যেদিন তুমি পাবে,
তুমি বুঝবে, তত্ত্বমসি। তুমিই সে।' বুঝবে, অহম্
ব্রহ্মাস্মি। আমিই সেই পরাৎপর ব্রহ্ম। উত্তরাখণ্ডের এক
সাধু আমায় বলেছিলেন, ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ খুব
সহজ। আমার অস্তিত্বই ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ।
-----
- স্বামী সর্বপ্রিয়ানন্দ
Tags
hindu