জিনপিংয়ের মুশকিল আসান করলেন বাইডেন

ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রের প্রধান হওয়া একটি কঠিনতম কাজ। যার জন্য রাষ্ট্রনেতাদের পারিবারিক জীবন কখনও কখনও অবহেলিত হয়। কারণ ব্যস্ততার দরুণ তারা পরিবারকে ঠিকমতো সময় দিতে পারেন না। কিন্তু চীনের রাষ্ট্রনেতা সত্যিই ভাগ্যবান, কারণ স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে গেলেও তাকে সেই বিশেষ দিনটি মনে করিয়ে দিলেন আরেক রাষ্ট্রপ্রধান। সদ্যই আমেরিকা সফরে গিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বুধবার সেখানেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন। আলোচনার শেষে আচমকাই জিনপিংয়ের স্ত্রীর প্রসঙ্গ তুলে বাইডেন বলেন, “আপনার স্ত্রীকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা। আমার তরফে এই শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়ে দেবেন।”

মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই কথা শুনে জিনপিং প্রায় আকাশ থেকে পড়েন। বাইডেনের কথা প্রথমে বুঝতেই পারেননি তিনি। বেশ খানিকক্ষণ পর ব্যাপারটা বোধগম্য হয় তার।
বিজ্ঞাপন
স্ত্রীর জন্মদিন মনে করিয়ে দেয়ার জন্য বাইডেনকে ধন্যবাদও জানান তিনি। বিয়ের ৩৫ বছর কেটে যাওয়ার পরেও মনে রাখতে পারলেন না জীবনসঙ্গীর জন্মদিন! কিন্তু তার মুশকিল আসান করে দিলেন জো বাইডেন। যে দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আবার জিনপিংয়ের আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক। আসলে শি'র স্ত্রী পেং লিয়ুয়ান - চীনের একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব- ২০ নভেম্বর, যেদিন বাইডেন ৮১ বছর বয়সী হবেন, সেদিন তিনি ৬১ বছরে পা দেবেন। ১৯৮৭ সালে পেং লিয়ুয়ানকে বিয়ে করেন জিনপিং।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন তাকে স্ত্রীর জন্মদিনটি মনে করিয়ে দেবার পর স্পষ্টতই বিব্রত দেখাচ্ছিলো প্রেসিডেন্ট শি-কে। দুই রাষ্ট্রনেতা একসাথে বেশকিছুক্ষণ সময় কাটান। পরে বাইডেন বলেন, একটি "উৎপাদনশীল" শীর্ষ বৈঠকে তারা সামরিক যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করতে এবং উত্তেজনা কমাতে সম্মত হয়েছেন। বাইডেন আলোচনার পরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে, শির সাথে তার সম্পর্ক গভীর। ''আমি যে কোনও বিশ্ব নেতার চেয়ে প্রেসিডেন্ট শির সাথে বেশি সময় কাটিয়েছি। আমি মনে করি আমি তাকে চিনি। আমি তার পদ্ধতি সম্পর্কে জানি''- বলেন বাইডেন। সেইসঙ্গে স্ত্রীর জন্মদিনে জিনপিংকে কার্ড কেনার টিপসও দিয়ে রাখলেন বাইডেন।

সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে
খবর: মানবজমিন
Previous Post Next Post

نموذج الاتصال