প্যারিসে মেসির ইতিহাসগড়া রাত!

লিওনেল মেসি। ছবি: সংগৃহীত

সপ্তম স্বর্গ ছাপিয়ে এবার অন্য উচ্চতায় লিওনেল মেসি। এই প্যারিসেই প্রথমবারের মত সমর্থকদের কাছ থেকে দুয়ো শুনেছিলেন। ইউরোপের পর্বটাও শেষ হয়েছিল এই সীন নদীর তীরের শহরেই। এক বছর পার না হতেই আবার প্যারিসে আর্জেন্টিনার মহাতারকা। জমকালো এক রাতে মেসি জিতলেন নিজের অষ্টম ব্যালন ডি অর। যে কীর্তিতে মেসি আগেই ছিলেন অনন্য, এবার সেটাকেই বাড়িয়ে নিলেন অনেকখানি!

মঞ্চটা আগেই প্রস্তুত ছিল। ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন আগেই জানিয়েছিল এবারের বিজয়ী নির্ধারণে বছর নয়, আমলে নেওয়া হবে মৌসুম। এরপরই মূলত ব্যালন হয়ে যায় এক ঘোড়ার দৌড়! মাঝে আর্লিং হালান্ডের ট্রেবল জয় কিছুটা চ্যালেঞ্জ জানালেও শেষ পর্যন্ত পার্থক্য নির্ণয় করে দিয়েছে সেই বিশ্বকাপটাই।

ব্যালন ডি’অরের জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে ২০২২ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই সময়কে। এ সময়ে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি পিএসজির হয়ে ফ্রেঞ্চ লিগ জিতেছেন মেসি। এমনকি নতুন ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়েও দারুণ শুরু করেছিলেন।
ছবি: সংগৃহীত

লিওনেল মেসির যাদুকরী পারফরম্যান্সে ভিত্তি করে ২০২২ সালে বিশ্বকাপ জয় করে আর্জেন্টিনা। ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে লাতিনের দেশে ফেরে ফুটবল বিশ্বের সর্বোচ্চ এই সম্মাননা। আসরে মেসি ছিলেন দুর্দান্ত বিশ্বকাপে ছিল ৭ গোল। পেয়েছেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল।

এই ব্যালন জয়ের মাধ্যমে নিজের রেকর্ডকে আরও দূরে নিয়ে গিয়েছেন মেসি। বিশ্বমঞ্চে তার আবির্ভাবের আগে সবচেয়ে বেশি ব্যালন জয়ের রেকর্ড ছিল ৩ জনের। ইয়োহান ক্রুইফ, মিশেল প্লাতিনি এবং মার্কো ভ্যান বাস্তেন তিনজনেই পেয়েছেন ৩টি ব্যালন শিরোপা। ২০১২ সালেই তাদের ছাপিয়ে রেকর্ড চতুর্থ ব্যাল জেতেন মেসি। ২০০৯ থেকে টানা চার ব্যালন ডি অর গিয়েছিল মেসির হাতে।

মাঝে পর্তুগিজ সুপারস্টারের সঙ্গে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল মেসির। ২০১৫ সালে নিজের পঞ্চম ব্যালন ডি অর পান মেসি। ২০১৯ সালে রোনালদোকে ছাড়িয়ে নিজের ষষ্ঠ ব্যালন ডি অর জেতেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এরপর ২০২১ সালে জেতেন সপ্তম ব্যালন ডি অর। আর ২০২৩ সালে নিজের অষ্টম ব্যালন জিতে নিজেকে তিনি নিয়ে গিয়েছেন অন্য এক উচ্চতায়।

source: Dhaka Post
Previous Post Next Post

نموذج الاتصال