
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমাও, সংঘাতপূর্ণ রাজনীতির জনদুর্ভোগ বন্ধ করসুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন চাই বৈষম্যহীন সম্প্রীতির সমাজ গড়ে তুলুন হাজার হাজার বছর ধরে এই ভৌগলিক সীমানায় সকল ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় আর জনজাতি সাম্য-সম্প্রীতির মধ্যদিয়ো অব্যাহত রেখেছে তাদের সংগ্রামী অভিযাত্রা। সেই অভিযাত্রায় মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা অর্জন ছিলো বাঙালির এক উজ্জ্বল অধ্যায়। মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাশা ছিলো দুর্নীতিমুক্ত, ধর্মনিরপেক্ষ, সার্বজনীন অসাম্প্রদায়িক বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা আর বৈষম্যহীন অর্থনৈতিক ও সমাজ ব্যবস্থার এক বাংলাদেশ। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বিয়োগাক ঘটনার পর অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক কল্যাণমুখী রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তে বাংলাদেশের রাজনীতি ও সংস্কৃতিকে সাম্প্রদায়িক ধারায় প্রত্যাবর্তনের যে অপচেষ্টা শুরু হয়েছিলো তা সাংবিধানিক রূপে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পথকে প্রশস্থ করে দেয়। পরবর্তীকালে ১৯৮০ এর দশকব্যাপী স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসনের পতন ঘটলেও সেই সময়ের ঐক্যবদ্ধ দলগুলোর যে অঙ্গীকার ছিলো তা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
বরঞ্চ মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, মানবাধিকার রক্ষার বিষয়গুলো কথা বলার রাজনীতিতে আজও আবদ্ধ হয়ে আছে। দেশের বাজার ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রনহীনতা, মাফিয়া সিন্ডিকেটের দৌরাত্বে মানুষ আজ দিশেহারা। রাজনীতিতে লুটেরাদের আধিপত্য ও ধর্মান্ধ শক্তির সাথে আপোষকামীতা মূলত ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগকে মুছে দেয়ার গভীর ষড়যন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধকে বিসর্জন দেয়া। তাই দুঃখজনক হলেও সত্য নির্বাচনকালীন সময়কালে সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে আপোষ, দুর্বৃত্তায়ন, কালোটাকা আর পেশিশক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে ক্ষমতা প্রত্যাশী কেউই পিছিয়ে নেই।
আজ দেশ ও জনগণের আকাঙ্খা সকল জনমানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আহ্বান নিয়ে আমাদের এই পদযাত্রা। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্তব্যবোধ জাগ্রত করে প্রান্তিক মানুষের মর্যাদা ও বৈষম্য নিরসন হোক নির্বাচনে। এই হোক সকল প্রার্থীর অঙ্গীকার। সাংবিধানিকভাবে প্রকৃত গণতান্ত্রিক অনুশীলন চাই। চাই অর্থনীতি সহ সমাজের সকল ক্ষেত্রে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ।
নিরপেক্ষ ও সকলের অংশগ্রহনমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে, শান্তি ও সম্প্রীতির অব্যাহত যাত্রায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠুন ।
জয় বাংলা
আসুন আওয়াজ তুলিঃ
- সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন চাই।
- সিন্ডিকেটের হাত থেকে মানুষ বাঁচাও, দ্রব্যমূল্য কমাও।
- অর্থ পাচারকারী, ঋণ খেলাপী, লুটেরাদের মনোনয়ণ দেয়া যাবেনা।
- সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ কঠোর হস্তে দমন কর।
- সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত কর।
- নারী-শিশু নির্যাতন কঠোর হস্তে দমন কর।
- মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বৈষম্যহীন সম্প্রীতির বাংলাদেশ চাই।
- আমার ভোট আমি দেব, দেশ প্রেমিক, অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রার্থীকে দেবো।
- রাজনীতি ও নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
- স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ কর।
- নির্বাচনোত্তর সহিংসতা প্রতিরোধে যুথবদ্ধ হও।
Tags
daily news