![]() |
ছবি: সংগৃহীত |
সিলেটের বহুল আলোচিত বেলাল আহমদ মুরাদ ফের আলোচনায়। সিলেটি ভাষায় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মুরাদ পেশায় সাবরেজিস্ট্রার অফিসের একজন নকলনবিশ। এবার সিলেট সাবরেজিস্ট্রারকে হুমকি দিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন মুরাদ। এ ঘটনার পর তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কার আদেশে তাকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বালাম বহিতে নকল লেখার কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট জেলা-রেজিস্ট্রার মুন্সী মোখলেছুর রহমান জানিয়েছেন, গত সোমবার এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের নিবন্ধন অধিদপ্তর অফিস থেকে একটি আদেশ আসে বালাম বহি লিপিবদ্ধ কাজে উদাসীনতা, কাজে দায়িত্ব পালন না করা, মাসিক কার্যবিবরণী প্রস্তুত না করে মাসিক পারিশ্রমিক নিচ্ছেন- এমন নকলনবিশদের শনাক্ত করার। নিয়ম অনুযায়ী সাবরেজিস্ট্রি অফিসে নকলনবিশদের প্রতিদিন ১২ পৃষ্ঠা করে মাসিক ৩০০ পৃষ্ঠা দৈনিক বালাম বইয়ে লিপিবদ্ধ করা এবং দৈনিক কার্য সম্পাদনের ডায়েরি লেখা বাধ্যতামূলক।
এমন আদেশে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর সিলেট সদর সাবরেজিস্ট্রার মাহবুবুর রহমান স্বারক নং-৩৬৫ এর মাধ্যমে কার্যালয়ে নিয়োজিত নকলনবিশদের ১২ মাসের পৃথক কার্যতালিকা তৈরির আদেশ প্রদান করেন।
নকলনবিশ বেলাল আহমদ মুরাদের কার্যতালিকা পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, তিনি দীর্ঘ ৫ বছর ধরে সিলেট সাবরেজিস্ট্রি অফিসের বালাম বহিতে প্রতিদিনের ১২ পৃষ্ঠা করে মাসিক ৩০০ পৃষ্ঠা লিপিবদ্ধ করেননি। এছাড়াও দৈনিক কার্য সম্পাদনের ডায়েরি লেখেননি। এরপর নকলনবিশ বেলাল আহমদ মুরাদের বেতন বিল বন্ধ করেন সিলেট সদর সাবরেজিস্ট্রার মাহবুবুর রহমান।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুরাদ সাবরেজিস্ট্রার মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। দেখে নেবেন বলে হুমকি প্রদান করেন। সাবরেজিস্ট্রার মাহবুবুর রহমান এ ব্যাপারে সিলেট জেলা-রেজিস্ট্রার মুন্সী মোখলেছুর রহমানের কাছে অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, বেলাল সাবরেজিস্ট্রি অফিসে নাশকতার হুমকিও দিয়েছেন।
অভিযোগ তদন্তে বালাগঞ্জের সাবরেজিস্ট্রার মো. হাফিজুর রহমানকে সভাপতি, বিশ্বনাথের সাবরেজিস্ট্রার মেসবাহ উদ্দিন আহমদকে সদস্য ও কোম্পানীগঞ্জের সাবরেজিস্ট্রার মো. আখলাকুর রহমানকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি মুরাদের অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরাসহ তার বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই জেলা সাবরেজিস্ট্রার মুরাদকে বহিষ্কারের আদেশ দেন।
তবে অভিযুক্ত বেলাল আহমদ মুরাদ হুমকির বিষয়ে অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করছেন, আমার বিরুদ্ধে একটি মহল কাজ করছে। আমি আমার লিখিত বক্তব্য তদন্ত কমিটির কাছে দিয়েছি। তবে অফিসের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে না পারার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, মিডিয়া (কন্টেন্ট ক্রিয়েট) নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অফিসের কাজ করতে পারেননি।
সূত্র: যুগান্তর
Tags
daily news