ইউরোপজুড়ে প্রথা বা প্রতিষ্ঠানবিরোধী রাজনীতির প্রতি জনসমর্থন বাড়ছে। এই অঞ্চলের দেশগুলোর জাতীয় নির্বাচনেও তার ফল দেখা যাচ্ছে।

ইতালিতে গত বছরের নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থী দলগুলোর জোট বড় জয় পায়। জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন জর্জিয়া মেলোনি। ছবি: সংগৃহীত
প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষই পপুলিস্ট বা জনতুষ্টিবাদ, কট্টর ডানপন্থি বা কট্টর বামপন্থি দলগুলোকে ভোট দিচ্ছেন। যা মূলধারার রাজনীতিকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন মতে, ইউরোপের ৩১টি দেশের শতাধিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী গবেষণাটি চালিয়েছেন। সেই গবেষণায় দেখা গেছে, গত বছর এসব দেশের নির্বাচনে প্রায় ৩২ শতাংশ মানুষ মূলধারার রাজনীতিবিরোধী দলগুলোকে ভোট দিয়েছেন। যেটা চলতি শতকের শুরুর দশকে ছিল ২০ শতাংশ ও ১৯৯০-এর দশকে ছিল মাত্র ১২ শতাংশ।
ম্যাথিজ রুডুইজন নামে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর নেতৃত্বে পরিচালিত ওই গবেষণায় আরও দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানবিরোধী রাজনীতির সমর্থক বা ভোটারদের অর্ধেকই কট্টর ডানপন্থী দলগুলোকে ভোট দিয়েছেন। রাজনীতির মাঠে এমন ভোটার বা সমর্থকদের সংখ্যা সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে।
ম্যাথিজ রুডুইজন বলেন, ‘সংখ্যার ওঠানামা আছে। কিন্তু মূল প্রবণতা হলো সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে। মূলধারার দলগুলো ভোট হারাচ্ছে; প্রতিষ্ঠানবিরোধী দলগুলো শক্তিশালী হচ্ছে। এটা ভাবনার বিষয়। কারণ অনেক গবেষণায় এখন দেখা যাচ্ছে যে, যখন পপুলিস্টরা ক্ষমতা নিশ্চিত করে বা ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে, তখন উদার গণতন্ত্রের মান হ্রাস পায়।’
গবেষণার ফলাফল থেকে এটা স্পষ্ট যে, ইউরোপে গত দুই দশক ধরে কট্টরপন্থা বা উগ্রপন্থা দ্রুতগতিতে বেড়েছে। যে ইউরোপকে এক সময় উদারপন্থি গণতন্ত্রের দুর্গ বলা হত, সেখানে এখন অভিবাসনবিরোধী, জাতীয়তাবাদী ও ইসলামবিদ্বেষী রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে ভালো করছে। ফ্রান্স, জার্মানি বা সুইডেনের মতো বেশ কিছু দেশে এসব দল প্রধান রাজনৈতিক দলের কাতারে উঠে আসছে।
গত বছর ইতালির নির্বাচনে প্রথমবারের মতো কট্টর ডানপন্থী দলগুলোর জোট বড় জয় পায়; যা অনেককে চমকে দেয়। ইউরোপের রাজনীতিতে যে এক বড় পরিবর্তন আসন্ন তা ব্রাদার্স অব ইতালি ও তার মিত্র দলগুলোর ওই জয় একটা স্পষ্ট প্রমাণ। ইতালির মতো ইউরোপের আরও বেশ কিছু দেশে কট্টর ডানপন্থিরা ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলছে।
দ্য গার্ডিয়ানের সঙ্গে মিলে গত কয়েক বছর ধরে ইউরোপে যেসব কট্টরপন্থি দলগুলোর উত্থান ঘটছে তার তালিকা প্রস্তুত করছে গবেষণা সংস্থা দ্য পপুলিস্ট। তারা এরই মধ্যে ইউরোপে এমন ২৩৪টি রাজনৈতিক দল খুঁজে পেয়েছে। যার মধ্যে ১৬৫টি দলই পপুলিস্ট বা জনতুষ্টিবাদী, ৬১টি দল কট্টর বাম ও ১১২টি কট্টর ডানপন্থি।
পপুলিস্ট রাজনীতি সাধারণত ডানপন্থি বা বামপন্থী মতাদর্শের সাথে মিলিত হয়ে সমাজকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে ফেলে। যার একদলে ‘খাঁটি মানুষ’ ও অপর দলে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত অভিজাত’ এমন বয়ান পেশ করা হয়। যুক্তি দেয়া হয়, সমস্ত রাজনীতি হওয়া উচিত ‘জনগণের ইচ্ছার প্রকাশ’।
এমন প্রবণতা স্থানীয় কট্টর জাতীয়তাবাদের উত্থানের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে গবেষকেরা মনে করছেন। প্রমাণ হিসেবে যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টি, নেদারল্যান্ডসের ক্ষমতাসীন ভিভিডি পার্টি, ফ্রান্সের ল’ রিপাবলিকান ও অস্ট্রিয়ার ওভিপি পার্টির দৃষ্টান্ত সামনে এনেছেন তারা। এ বিষয়ে রুডুইজন বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে এখনও এসব দলের মধ্যে স্থানীয় জাতীয়তাবাদী মনোভাব দেখা না গেলেও, ভবিষ্যতে যে দেখা যাবে না তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’

ইতালিতে গত বছরের নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থী দলগুলোর জোট বড় জয় পায়। জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন জর্জিয়া মেলোনি। ছবি: সংগৃহীত
প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষই পপুলিস্ট বা জনতুষ্টিবাদ, কট্টর ডানপন্থি বা কট্টর বামপন্থি দলগুলোকে ভোট দিচ্ছেন। যা মূলধারার রাজনীতিকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন মতে, ইউরোপের ৩১টি দেশের শতাধিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী গবেষণাটি চালিয়েছেন। সেই গবেষণায় দেখা গেছে, গত বছর এসব দেশের নির্বাচনে প্রায় ৩২ শতাংশ মানুষ মূলধারার রাজনীতিবিরোধী দলগুলোকে ভোট দিয়েছেন। যেটা চলতি শতকের শুরুর দশকে ছিল ২০ শতাংশ ও ১৯৯০-এর দশকে ছিল মাত্র ১২ শতাংশ।
ম্যাথিজ রুডুইজন নামে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর নেতৃত্বে পরিচালিত ওই গবেষণায় আরও দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানবিরোধী রাজনীতির সমর্থক বা ভোটারদের অর্ধেকই কট্টর ডানপন্থী দলগুলোকে ভোট দিয়েছেন। রাজনীতির মাঠে এমন ভোটার বা সমর্থকদের সংখ্যা সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে।
ম্যাথিজ রুডুইজন বলেন, ‘সংখ্যার ওঠানামা আছে। কিন্তু মূল প্রবণতা হলো সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে। মূলধারার দলগুলো ভোট হারাচ্ছে; প্রতিষ্ঠানবিরোধী দলগুলো শক্তিশালী হচ্ছে। এটা ভাবনার বিষয়। কারণ অনেক গবেষণায় এখন দেখা যাচ্ছে যে, যখন পপুলিস্টরা ক্ষমতা নিশ্চিত করে বা ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে, তখন উদার গণতন্ত্রের মান হ্রাস পায়।’
গবেষণার ফলাফল থেকে এটা স্পষ্ট যে, ইউরোপে গত দুই দশক ধরে কট্টরপন্থা বা উগ্রপন্থা দ্রুতগতিতে বেড়েছে। যে ইউরোপকে এক সময় উদারপন্থি গণতন্ত্রের দুর্গ বলা হত, সেখানে এখন অভিবাসনবিরোধী, জাতীয়তাবাদী ও ইসলামবিদ্বেষী রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে ভালো করছে। ফ্রান্স, জার্মানি বা সুইডেনের মতো বেশ কিছু দেশে এসব দল প্রধান রাজনৈতিক দলের কাতারে উঠে আসছে।
গত বছর ইতালির নির্বাচনে প্রথমবারের মতো কট্টর ডানপন্থী দলগুলোর জোট বড় জয় পায়; যা অনেককে চমকে দেয়। ইউরোপের রাজনীতিতে যে এক বড় পরিবর্তন আসন্ন তা ব্রাদার্স অব ইতালি ও তার মিত্র দলগুলোর ওই জয় একটা স্পষ্ট প্রমাণ। ইতালির মতো ইউরোপের আরও বেশ কিছু দেশে কট্টর ডানপন্থিরা ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলছে।
দ্য গার্ডিয়ানের সঙ্গে মিলে গত কয়েক বছর ধরে ইউরোপে যেসব কট্টরপন্থি দলগুলোর উত্থান ঘটছে তার তালিকা প্রস্তুত করছে গবেষণা সংস্থা দ্য পপুলিস্ট। তারা এরই মধ্যে ইউরোপে এমন ২৩৪টি রাজনৈতিক দল খুঁজে পেয়েছে। যার মধ্যে ১৬৫টি দলই পপুলিস্ট বা জনতুষ্টিবাদী, ৬১টি দল কট্টর বাম ও ১১২টি কট্টর ডানপন্থি।
পপুলিস্ট রাজনীতি সাধারণত ডানপন্থি বা বামপন্থী মতাদর্শের সাথে মিলিত হয়ে সমাজকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে ফেলে। যার একদলে ‘খাঁটি মানুষ’ ও অপর দলে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত অভিজাত’ এমন বয়ান পেশ করা হয়। যুক্তি দেয়া হয়, সমস্ত রাজনীতি হওয়া উচিত ‘জনগণের ইচ্ছার প্রকাশ’।
এমন প্রবণতা স্থানীয় কট্টর জাতীয়তাবাদের উত্থানের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে গবেষকেরা মনে করছেন। প্রমাণ হিসেবে যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টি, নেদারল্যান্ডসের ক্ষমতাসীন ভিভিডি পার্টি, ফ্রান্সের ল’ রিপাবলিকান ও অস্ট্রিয়ার ওভিপি পার্টির দৃষ্টান্ত সামনে এনেছেন তারা। এ বিষয়ে রুডুইজন বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে এখনও এসব দলের মধ্যে স্থানীয় জাতীয়তাবাদী মনোভাব দেখা না গেলেও, ভবিষ্যতে যে দেখা যাবে না তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
সূত্র: সময়
Tags
world news