মার্কিন বন্দিবিনিময়ে ৬০০ বিলিয়ন ডলার ফেরত চায় ইরান



ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন পাঁচ নাগরিক মুক্ত করতে তেহরানের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তির প্রক্রিয়া চলছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি প্রশ্নের উত্তরে সুলিভান বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি এ বিষয়ে ইরানের সঙ্গে বোঝাপড়ায় পৌঁছাতে পেরেছি। প্রক্রিয়া অনুযায়ী সব এগোচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের এখনই কোনো সুনির্দিষ্ট সময় দিতে পারছি না। তবে সবকিছুই ট্র্যাকে রয়েছে।’

একাধিক সংবাদমাধ্যম চলতি মাসের গোড়ার দিকে জানিয়েছিল, মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় দক্ষিণ কোরিয়ায় আটকে থাকা ৬০০ কোটি ডলার হাতে পাওয়ার বিনিময়ে পাঁচ নাগরিককে মুক্তি দিতে কাজ করছে ওয়াশিংটন-তেহরান।

যদিও চুক্তিটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তাদের মুক্তির অংশ হিসেবে কারাগার থেকে গৃহবন্দিতে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপকে গত সপ্তাহে স্বাগত জানিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তবে পাঁচজন তখনো বাড়িতে না পৌঁছানোয় উদ্বেগ জানান তিনি।

ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের খান্নানি সোমবার বলেন, ‘বন্দিবিনিময়ের প্রক্রিয়ার কোনো সময় নির্ধারণ করা হয়নি। তবে সব কিছু মিলিয়ে দুই মাস সময় লাগতে পারে।’

দুই দেশের বন্দিবিনিময়ের প্রক্রিয়াধীন চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। কিন্তু তাতে দুই দেশের মৌলিক বা কূটনৈতিক সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন আসবে না বলে মনে করছেন তারা।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দ. কোরিয়ায় পেট্রোলিয়াম বিক্রি করে ইরান। প্রাপ্য অর্থ দক্ষিণ কোরিয়ায় জব্দ করে ট্রাম্প প্রশাসন। ওই অর্থ ছাড় পেতে ওয়াশিংটনকে আহ্বান জানিয়ে আসছিল তেহরান।

এদিকে ইরানের কাছে পাঠাতে ৬০০ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ সুইস ব্যাংকে হস্তান্তর করা হয়েছে। মুদ্রা বাজারের একটি সূত্রের বরাতে দ. কোরিয়ার ইওনহ্যাপ ইনফোম্যাক্স জানিয়েছে, ৬০০ কোটি ডলার সমপরিমাণ দক্ষিণ কোরিয়া মুদ্রা ওনকে সুইস ব্যাংক ডলারে পরিণত করবে, পরে ইউরোতে রূপান্তর করা হবে।

খবর: যুগান্তর
সূত্র: আলজাজিরা
Previous Post Next Post

نموذج الاتصال